হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান এখন শুধু ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে।
তিনি হাওজায়ে ইলমিয়া কোম সম্পর্কে উল্লেখ করেন:
জ্ঞাননির্ভরতা হলো কোমের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি। এখানকার বহু আলেম ও চিন্তাবিদ যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন।
নৈতিকতা ও জনগণের সাথে সংযোগ: ধর্মীয় জ্ঞান তখনই কার্যকর হয়, যখন তা সমাজে প্রয়োগযোগ্য হয়। কোম সেমিনারির আলেমরা সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন এবং সমাজ ও নৈতিক উন্নয়নে অংশ নিয়েছেন।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বিপ্লবী ভূমিকা: কোম সব সময় স্বাধীনতা আন্দোলন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম এবং ইসলামি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে।
ইরানের ঐতিহাসিক অবদান: ইরান ইসলাম গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং আরবি ভাষাসহ অন্যান্য ইসলামী জ্ঞানচর্চায়ও বিশেষভাবে অবদান রেখেছে।
নারী শিক্ষা ও অংশগ্রহণ: ইসলামি বিপ্লবের পর নারীদের জন্য ৫০০টিরও বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (হাওজা) স্থাপিত হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক।
আধুনিক জ্ঞানের সংযোজন: ইসলামি ফিকহ, দর্শন, তাফসির, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও গবেষণা চলছে।
নতুন নীতিমালা আসছে: সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর থেকে একটি নতুন ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই শতবর্ষপূর্তি সম্মেলন কোমের হাওজার ঐতিহাসিক অর্জন ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরবে।
আপনার কমেন্ট