রবিবার ৪ মে ২০২৫ - ১৪:৩৫
জনগণ ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের কোনো মূল্য নেই: আয়াতুল্লাহ আ’রাফি

ইরানের ধর্মীয় নগরী কোমের হাওজায়ে ইলমিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সংবাদ সম্মেলনে আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি বলেন, কোমের ইসলামি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিগত এক শতকে জ্ঞান, সমাজ, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান এখন শুধু ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে।

তিনি হাওজায়ে ইলমিয়া কোম সম্পর্কে উল্লেখ করেন:

জ্ঞাননির্ভরতা হলো কোমের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি। এখানকার বহু আলেম ও চিন্তাবিদ যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন।

নৈতিকতা ও জনগণের সাথে সংযোগ: ধর্মীয় জ্ঞান তখনই কার্যকর হয়, যখন তা সমাজে প্রয়োগযোগ্য হয়। কোম সেমিনারির আলেমরা সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন এবং সমাজ ও নৈতিক উন্নয়নে অংশ নিয়েছেন।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বিপ্লবী ভূমিকা: কোম সব সময় স্বাধীনতা আন্দোলন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম এবং ইসলামি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে।

ইরানের ঐতিহাসিক অবদান: ইরান ইসলাম গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং আরবি ভাষাসহ অন্যান্য ইসলামী জ্ঞানচর্চায়ও বিশেষভাবে অবদান রেখেছে।

নারী শিক্ষা ও অংশগ্রহণ: ইসলামি বিপ্লবের পর নারীদের জন্য ৫০০টিরও বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (হাওজা) স্থাপিত হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক।

আধুনিক জ্ঞানের সংযোজন: ইসলামি ফিকহ, দর্শন, তাফসির, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও গবেষণা চলছে।

নতুন নীতিমালা আসছে: সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর থেকে একটি নতুন ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, এই শতবর্ষপূর্তি সম্মেলন কোমের হাওজার ঐতিহাসিক অর্জন ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরবে।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha